আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, এরপরেই জানা যাবে কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা যাচ্ছে কাদের হাতে। দুবার করে বিশ্বকাপ জেতা আর্জেন্টিনা নাকি ফ্রান্সের ঘরে শিরোপা যাচ্ছে। এই মহরণে ছাড় দেবে না কোনো দলই। তবে এর আগে জেনে নেওয়া দরকার ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতায় কোন দল এগিয়ে রয়েছে।
আর্জেন্টিনা
দুবারের বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা আজকের ম্যাচ বাদ দিয়ে খেলেছে ৫টি ফাইনাল। আলবেলিস্তারা প্রথম ফাইনাল খেলেছে বিশ্বকাপের প্রথম আসরে। ১৯৩০ সালে উরুগুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচ আর্জেন্টিনা হেরেছিল ৪-২ গোলে।
৪৮ বছর পর অর্থাৎ ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠে আর্জেন্টিনা। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল নেদারল্যান্ড। ডাচদের ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ পায় আলবেলিস্তারা।
১৯৮৬ সালে ফের ফাইনালে উঠে আর্জেন্টিনা। পশ্চিম জার্মানির সঙ্গে সেই ম্যাচ তারা জিতেছিল ৩-২ ব্যবধানে। এর মাধ্যমে শিরোপা জেতার দ্বিতীয় স্বাদ পায় ম্যারাডোনারা। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে চতুর্থবারের মতো ফাইনালে উঠে আলবেলিস্তারা। প্রতিপক্ষ সেই পশ্চিম জার্মানি। তবে এবার আর জয়ের মুখ দেখতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ১-০ ব্যবধানে হারে তারা।
সবশেষ ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠে মেসি বাহিনী। এবারও সেই প্রতিপক্ষ জার্মানি। এবারও পরাস্ত আলবেলিস্তারা। ১-০ ব্যবধানে হার মেসি বাহিনী। অবশেষে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেছে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ দুবারের বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স।
ফ্রান্স
বিশ্বকাপ জয়ে আর্জেন্টিনার সমান হলেও ফাইনালে উঠার দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে ফ্রান্স। আজকের ম্যাচ বাদ দিয়ে তিনবার ফাইনালে উঠার স্বাদ পেয়েছে ফরাসিরা।
১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে ফ্রান্স। সেবার তাদের প্রতিপক্ষ ছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। তবে জিদানদের কাছে পাত্তায় পায়নি কাফু, রোনালদোরা। ৩-০ ব্যবধানে ম্যাচ জিতেছিল ফরাসিরা।
২০০৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ মঞ্চের ফাইনালে উঠে ফ্রান্স। সেবার তাদের প্রতিপক্ষ ছিল তিনবারের বিশ্বকাপ জয়ী ইতালি। পেনাল্টি শুটআউটে ইতালির কাছে হেরে বসে ফ্রান্স। ওই ম্যাচেই ফ্রান্সের কিংবদন্তি জিনেদিন জিদান ইতালির মার্কো মাতারাজ্জিকে খেলার মাঠে মাথা দিয়ে গুঁতো দিয়ে লাল কার্ড পান। সেই ম্যাচ দিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের ইতি টানেন জিদান।
২০১৮ সালে ফের বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্স। সেবার দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছিল এমবাপেরা।
সূত্র: মার্কা